আল কুরআনে আসমানী গ্রন্থধারীগণকে কি মুহাম্মদের দ্বীন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে নাকি তাদের দ্বীনই সঠিকভাবে পালন করতে বলা হয়েছে?


 আল কুরআনে আসমানী গ্রন্থধারীগণকে কি মুহাম্মদের দ্বীন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে নাকি তাদের দ্বীনই সঠিকভাবে পালন করতে বলা হয়েছে?

মুহাম্মদের দ্বীনে কোথাও আসমানী গ্রন্থধারী গনকে  মুহাম্মদের দ্বীন গ্রহনের কথা বলা হয়নি। বরং তাদের রাসুল বা বার্তা বাহকের দ্বীনই সঠিকভাবে মানার কথা বলা হয়েছে। চলুন এক নজরে দেখে আসি মুহাম্মদের দ্বীনে আহলে কিতাব বা আসমানী গ্রন্থধারী গণকে কি বলা হয়েছে? 

"হে আসমানী গ্রন্থধারীগণ। এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; আমরা স্রষ্টা ব্যতীত আর কারও ইবাদত করি না ; কোনোকিছুকেই স্রষ্টার শরীক করি না এবং আমাদের কেউ স্রষ্টা ব্যতীত অন্য কাউকেই প্রতিপালক রুপে গ্রহণ করে না। "

" নিশ্চয়ই ইব্রাহিম, মুসা, ইসা,মুহাম্মদ সকলেরই দ্বীন ছিলো একই। আর সেই দ্বীন হলো একনিষ্ঠভাবে স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পণ। এদের কেউই মুশরিকদের  অন্তর্ভুক্ত ছিলো না "

" নিশ্চয়ই আসমানী গ্রন্থধারীদের মধ্য এমন অনেকে রয়েছে, যারা স্রষ্টার কাছে বিনায়াবনত হয়ে মুহাম্মাদের প্রতি যা অবতীর্ন হয়েছে তাতে এবং তাদের প্রতি যা অবতীর্ন হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে এবং স্রষ্টার আয়াত সল্পমূল্লে বিক্রয় করে না;

এরাই তো সেই সকল লোক যাদের জন্য স্রষ্টার নিকট পুরস্কার রয়েছে। "

আসমানী কিতাব কুরআনে কোনো আহলে কিতাবকে মুহাম্মদের দ্বীন গ্রহন করার কথা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে যার দ্বীন তার কাছে।আরও আহলে কিতাবদেরকে কোরআনে আহব্বান জানানো হয়েছে যে, তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থক রুপে তোমরা আল কোরআনকে মেনে নাও। আর যদি তোমরা তাও মানতে না চাও তাহলে তোমাদের মধ্য যে

 মতবিরোধ রয়েছে কিয়ামতের দিন সেগুলোর মিমাংসা স্বয়ং স্রষ্টা তোমাদের করে দেবেন। 

ওহ আহলে কিতাবগণ আল কোরআনে স্রষ্টা তোমাদের কিতাব আর তোমাদের নবীকেই মানতে বলেছেন। শুধু তোমাদের কিছু ভুল আল কোরআনে স্রষ্টা তোমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন। সেগুলো হলো ইসা ক্রুশবিদ্ধ হয়নি, ইসা স্রষ্টার পুত্র নয় , মারিয়ম স্রষ্টার স্ত্রী নয়। এমন আরো অনেক কিছু৷। মহান স্রষ্টা একজনই, তার কোনো শরীক নেই, তিঁনি এক ও অদ্বিতীয়। ইসা তোমাদের স্রষ্টার একজন বার্তাবাহক

এবং সামান্য গোলাম বৈ আর কিছুই ছিলেন না। কখনোই ইসা নিজেকে স্রষ্টা দাবী করেন নি। কখনোই না, কখনোই না, কখনোই না। #stcpart

"ইব্রাহিম,মুসা, ইসা, মুহাম্মদ সকলেই স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পন করেছিল। 

"নিশ্চয়ই স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনই শ্রেষ্ট দ্বীন। "

Post a Comment

0 Comments