মুহাম্মদের দ্বীনে উল্লেখিত ১২ জন প্রতিনিধি বা খলিফা কারা?


মুহাম্মদের দ্বীনে উল্লেখিত ১২ জন প্রতিনিধি বা খলিফা কারা? 

মুহাম্মদের দ্বীনে একটি হাদীস রয়েছে। হাদীসটি হলোঃ জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ এ দ্বীন বারোজন প্রতিনিধি আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত অটুট অবস্থায় বিজয়ী থাকবে। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) এর এ কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা অবাক হয়ে 'আল্লাহু আকবর' ধ্বনি দিলো এবং চিৎকার করে উঠলো। অতপর তিনি নিম্নস্বরে একটি কথা বললেন। আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা

করলাম, তিনি (সাঃ) কি বলেছেন? তিনি বলেলেনঃ তাদের সবাই কুরাইশ বংশোদ্ভুত হবে। 


অন্যত্র এসেছে এর পর বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এই একই হাদীসটি আরেক জায়গায় একটু অন্যভাবে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এই বারোজনের প্রত্যেকে উম্মতকে তাদের পাশে একত্র করবে। অর্থাৎ এই বারোজন প্রতিনিধি মুহাম্মদের উম্মতদেরকে তাদের পাশে একত্রিত করবেন। 


উপরোক্ত হাদীসটি বিশ্লেষণ করলে ৩টি বিষয় সম্পর্কে  স্পষ্ট হওয়া যায়। নিচে সেই তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হলোঃ

১/বারোজন প্রতিনিধি বা খলিফা আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মদের দ্বীন অটুট অবস্থায় বিজয়ী থাকবে। 

২/এই বারোজন প্রতিনিধিদের প্রত্যেকে শেষ নবী মুহাম্মদের উম্মতদেরকে তাদের পাশে একত্রিত করবে। 

৩/এই বারোজন প্রতিনিধি পৃথিবী থেকে গত হওয়ার পর ফিতনা ফ্যাসাদ দেখা দিবে। খুন-খারাপি বেড়ে যাবে। 


এখন প্রশ্ন হলো তাহলে উপরে বর্নিত এই বারোজন প্রতিনিধি বা খলিফা কারা ছিলেন? এই বারোজন প্রতিনিধি বা খলিফার নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১/ইমাম আবু হানিফা 

২/ইমাম শাফেয়ী

৩/ইমাম মালেক 

৪/ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল

৫/ইমাম বুখারী

৬/ইমাম মুসলিম

৭/ইমাম তিরমিযি

৮/ইমাম আবু দাউদ 

৯/ইমাম নাসায়ী

১০/ইমাম ইবনে মাজাহ

১১/ইমাম গাজ্জালী

১২/ইমাম ইবনে তাইমিয়া


"সমস্ত প্রসংসার মালিকই একমাত্র স্রষ্টা"

ও স্রষ্টা এ জাতীর কি হয়েছে এরা কি নির্বোধ নাকি এরা কোনো চিন্তাভাবনাই করে না? নাকি এরা নিজেরাই নিজেদের মনগড়া মতবাদ তৈরি করে, পরে বলে এটাই তাদের স্রষ্টার বিধান? নাকি এ জাতি তোমার এই অধম গোলাম মেহেরাব অভির চাইতেও মূর্খ হয়ে গিয়েছে যে এই বারোজন খলিফা বা প্রতিনিধিকে চিনতে পারলো না? আরেকদল তো নিজেরাই বারোজন ইমাম তৈরি করে বসে আছে। 'গায়ে মানে না আপনি মোড়ল' পদ্ধতিতে তারা তাদের ইমাম নির্ধারন করেছে। এদেরকে তুমি ক্ষমা কর ও সঠিক পথের দিশা দান করো। 


নিশ্চয়ই মাহদী এই বারোজনের কেউই নয়। নিশ্চয়ই মাহদী বা ইসা একাই এই বারোজনের সমান। কারন উপরে উল্লেখিত বারোজনের প্রত্যেকে শুধুমাত্র শেষ নবী মুহাম্মদের উম্মতদেরকে একত্রিত করবে। আর মাহদী একাই মুহাম্মদ, ইসা, মুসা, নুহসহ সকল নবীদের  উম্মতদেরকে একত্রিত করে দিবে। নিশ্চয়ই মাহদী উপরে উল্লেখিত বারোজন প্রতিনিধির কেউ না, কেউ না, কেউ না। নিশ্চয়ই মাহদী একাই একটি বাহিনীর সমান। মাহদীর তোমাদের কারোর প্রয়োজন নেই। মাহদীর কাছে তোমাদের স্রষ্টাই যথেষ্ঠ। আর তোমাদের স্রষ্টা ছাড়া এই দুনিয়ার আর কোনো জাতি, গোষ্ঠী, ধর্মই মাহদীর কাছে তুচ্ছ, নগণ্য। নিশ্চয়ই মাহদী ও তোমাদের স্রষ্টার সকল নবীগণ স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। কারণ একমাত্র স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনই শ্রেষ্ঠ দ্বীন।

Post a Comment

0 Comments