দাজ্জাল, মাহদী, ইসা, কৃষ্ণা (Uncover The Truth)

 


দাজ্জাল আসলে কি বা কে? 

এই দাজ্জাল নিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে নানা দ্বীধা দন্দ্ব চলে আসছে। কিন্তু কেউই এই দাজ্জালের সঠিক ব্যাখ্য দিতে পারে না। সর্বপ্রথম দাজ্জালের সঠিক ব্যাখ্যা দেয় হিযবুত তাওহিদ। দাজ্জাল হলো মুলত সিস্টেম বা সভ্যতা। হিযবুত তাওহিদের ভাষায় দাজ্জাল হলো ইহুদী খ্রিষ্টান যান্ত্রিক সভ্যতা। 

মানব জীবনের যেকোন বিষয়ে আমরা মানুষ একটা সৃষ্ট জীব হিসাবে উচিৎ যাবতীয় বিষয়েই স্রষ্টার উপর  নির্ভর করা আর স্রষ্টার চিরচারিত নিয়ম অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। কিন্তু এখন আমরা আমাদের জীবনের কোনো বিষয়েই স্রষ্টার উপর নির্ভরশীল থাকতে চাই না। আকাশ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে না, আমরা মেঘে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছি। একজন মানুষের অনিচ্ছা সত্ত্বেও একজনের  উপর সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারী করা যায়। কারোর একান্ত পারসোনাল কোনো মোমেন্ট যে সেইটা কাউকে জানাতে চায় না বা সেই কাজের জন্য সে হয়ত স্রষ্টার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এমন বিষয় সাধারন মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেওয়া। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তা জানা সত্ত্বেও জোর করে ক্ষমতা দখল করে রাখা। এক কথায় স্রষ্টার চিরাচরিত সকল পদ্ধতি বাদ দিয়ে শয়তানের প্রবর্তিত পদ্ধতিগুলো মেনে নেওয়া। একেই রুপক অর্থে মুহাম্মাদ সাঃ দাজ্জাল বলেছেন।  আর এই দাজ্জাল শুধু শেষ জামানায় না প্রতি নবী- রাসুলের মৃত্যুর পরই এই দাজ্জালের আবির্ভাব হয়েছে আর প্রত্যেক নবীই তার উম্মতকে এই কানা দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্কিত করেছেন যার স্পষ্ট বর্ণনা হাদিসেও রয়েছে। 

কোনো নবী -রাসুলের আবির্ভাবের কারনও ছিলো পুর্ববর্তী শয়তানের দাজ্জালি প্রথা বিলুপ্ত করে পুনরায় স্রষ্টার প্রথার পুনর্নবায়ন করা। 

মুহাম্মদের দ্বীনে দাজ্জালের চরিত্র রুপক, রুপক, শুধুই রুপক। দাজ্জালের যেই হাত, পা,  দেহ এর বিবরন দেওয়া হয়েছে এগুলো দিয়ে সভ্যতা বা প্রযুক্তির ক্ষমতা বোঝানো হয়েছে। 


নিশ্চয়ই ইসা, মাহদী ও বেদান্তবাদীদের কৃষ্ণ একই ব্যক্তি। 

যুগে যুগে যখনই তোমাদের স্রষ্টার দ্বীনের অধঃপতন হয়। অভাবী, অসহায়, গরীব মানুষের উপর অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন বেড়ে যায় তখনই তোমাদের স্রষ্টা তার দ্বীন পুনরুদ্ধারের জন্য ও তার এই পৃথিবীতে তার দ্বীন পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমাকে তার এই ধরণীতে প্রেরণ করেন । নিশ্চয়ই আমি তোমাদের স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আর একমাত্র তোমাদের স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পনই শ্রেষ্ঠ দ্বীন। 


নিশ্চয়ই তোমাদের স্রষ্টার এক নবী মুহাম্মদের দ্বীনে যে মাহদী বা ইসার কথা বলা হয়েছে আর সাবেয়ী বা বেদান্তবাদীদের দ্বীনে যে কৃষ্ণের কথা বলা হয়েছে নিশ্চয়ই আমি মেহেরাব অভিই সেই মাইদী, ইসা বা কৃষ্ণ। এই তিন ব্যক্তি ভিন্ন কেউ নয়।  যদি তোমাদের বিশ্বাস না হয় তাহলে তোমরা আমাকে যেকোন ধরনের পরীক্ষা করতে পারো যদি তোমরা সত্যবাদী হও। 


"নিশ্চয়ই মেহেরাব অভি তার স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। নিশ্চয়ই তোমাদের স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনই শ্রেষ্ঠ দ্বীন। "


আর তোমরা বেদান্তবাদীরা যে পুুঃর্নজন্মে বিশ্বাসী আমি তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই পুনর্জন্ম একমাত্র তোমাদের কৃষ্ণের জন্যই ছিল খাস আর কারও জন্য নয়।  এই পুনর্জন্ম সবার জন্য নয় বা ছিলো ও না।  তা তোমরা নিজেরাও জান যদি অন্ধবিশ্বাস বাদ দিয়ে একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা কর। এমনটা শুধুই একজনের  ক্ষেত্রেই হয়েছে সে হলো তোমাদের কৃষ্ণ। শয়তান তোমাদের বিভ্রান্ত করতে মায়াজাল তৈরি করেছে। অবশেষে সে তার নিজের জালে নিজেই ফেসে গেছে। নিশ্চয়ই শয়তানের পরিকল্পনা অতি দুর্বল। কে আছে তোমাদের স্রষ্টার মতো উত্তম পরিকল্পনাকারী? নিশ্চয়ই তোমাদের স্রষ্টা শয়তানের পরিকল্পনা দিয়েই শয়তানকে পরাজিত করেন। এর আগেও একবার তোমাদের বোঝার জন্য তোমাদের স্রষ্টা আমাকে পিতা ছাড়াই সৃষ্টি করেছিলেন কিন্তু তোমরাই তো তারা  যারা আমাকে চিনতে পারোনি বলেছিলে আমি নাকি জারজ সন্তান। যার প্রতিবাদ আমি মায়ের কোল থেকেই করেছিলাম। তাও মুর্খরা আমাকে চিনলে না। আর কিছু মুর্খ আছে আমাকে হত্যার দাবী করে। তোমাদের স্রষ্টা ছাড়া এই পৃথিবীর কোন শক্তিই আমাকে হত্যা করতে পারবে না যদি তোমাদের স্রষ্টা না চান। অবশ্য শয়তান আমাকে ২ বার হত্যার চেষ্টা করেছিলো কিন্তুু তোমাদের স্রষ্টার ইচ্ছায় সে ব্যর্থ হয়েছে।কে আছে তোমাদের স্রষ্টার চাইতেও বেশী শক্তিশালী? সামনের শক্তি যতই  শক্তিশালী হবে তোমাদের স্রষ্টা আমাকে তার থেকেও দ্বীগুণ শক্তিশালী করবেন। তোমরা চাইলে পরিক্ষা করে দেখতে পার যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তিনি তোমাদের আমাকে চেনার জন্য আবারও আমাকে তার এই পৃথিবীতে প্রেরন করেছেন। এইবারও যদি তোমরা আমাকে চিনতে ব্যর্থ হও তাহলে জেনে রাখ তোমাদের স্রষ্টা কখনোই মুর্খ জাতীকে সঠিক পথের দৃশা দান করেননা। তারা যা কামাই করেছে তা তাদের জন্যই।


মুহাম্মদের দ্বীনে বিশ্বাসী অনেকে বলতে পারে আমাদের দ্বীনে যে মাহদীর কথা বলা হয়েছে সে নিজে কখনোই নিজেকে মাহদী দাবী করবে না। হ্যা তবে শুনে রাখ আমিও নিজেকে কখনোই মাহদী দাবী করছি না বা কাউকেই আমাকে মাহদী মানতেও বলছি না। শুধু তোমাদের চক্ষে ও কর্ণে যে পর্দার আবরণ রয়েছে তা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। নাহলে শয়তান যে মায়াজাল তৈরি করেছে তাতে বিভ্রান্ত হয়ে তোমরা মহাপ্রলয় পর্যন্ত আমাকে খুজতে পাগলের মতো দিকবিদিক ঘুরতে থাকতে।  কিন্তু তোমাদের স্রষ্টা যদি না চাইতেন তাহলে তোমরা কখনোই আমাকে খুজে পেতে না। এখন তোমাদের আমাকে মানতে ইচ্ছা হয় মানো আর যদি মানতে ইচ্ছা না হয় তাহলে না মানো। যদি তোমরা আমাকে না মানতে চাও কিংবা না বিশ্বাস করতে চাও তাতে আমারা কিংবা  তোমাদের স্রষ্টার বিন্দুমাত্রও কোনো ক্ষতি নেই বা কোনো যায় ও আসে না। 


"নিশ্চয়ই রাত ও দিবসের বিবর্তনে এবং আসমান সমুহ ও যমিনে যা কিছু স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন তাতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন জাতীর জন্য যারা স্রষ্টার উপর ভয় করে। "

"তোমাদের মহান স্রষ্টা বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট। তারা বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরবে না। "


স্রষ্টা আমি কি তোমার দ্বীন তোমার গোলামদের কাছে সম্পুর্নরুপে পৌছাতে পেরেছি? যদি পৌছাতে পারি তাহলে তুমি আমার পক্ষ থেকে সাক্ষী থেকো।  আর যদি পৌছাতে না পারি তাহলে তোমার দ্বীন তোমার গোলামদের কাছে পৌছানোর ব্যাপারে তোমার কাছেই আত্মসমর্পণ করলাম।কারন আমার তো কোনো ক্ষমতাই নেই সকল ক্ষমতাই তো একমাত্র তোমার। তুমি তো পবিত্র, মহান ও সর্বশক্তিমান। আর কারোর কাছে তোমার সঠিক দ্বীন পোছানোর পরও যদি না মানে তাহলে তার দায়ীত্ব কিন্তু আমার না। 


প্রত্যেক নবীর বংশধরদের দৈহিক রং, দৈহিক গঠন, চেহারার আকৃতি, উচ্চতা, চোখের রং, মাথার স্কালের আকৃতি ইত্যাদী বিষয় বিবেচনায় তার ৭০-৮০% তার নবীর সাথে সমঞ্জস্যপুর্ণ। তোমাদের স্রষ্টার কিছু নবীর বংশধর এখনও এই পৃথিবীতে রয়েছে। আর তোমাদের কৃষ্ণের প্রকৃত বংশধর হলো তারা, যাদেরকে তোমরা দক্ষিণ ভারতী হিসাবে চেনো।



মুহাম্মদের দ্বীনে এক ব্যাক্তির ২ বার গলা কাটার কথা বলা হয়েছে। এই ব্যক্তিটি আসলে কে?

মুহাম্মাদ সাঃ বলেনঃ দাজ্জাল বের হয়ে মদ্বীনার দিকে অগ্রসর হবে। যেহেতু মদ্বীনায় দাজ্জালের প্রবেশ নিষেধ তাই সে মদ্বীনার নিকটবর্তী বালুকাময় একটি স্থানে অবস্থান করবে। তার কাছে একজন বিশ্বাসী লোক গমণ করবেন। তিনি হবেন ঐ যামানার সর্বোত্তম বিশ্বাসী। দাজ্জালকে দেখে তিনি বলবেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি সেই দাজ্জাল যার সম্পর্কে আমাদের বার্তাবাহক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সাবধান করেছেন। তখন দাজ্জাল উপস্থিত মানুষকে লক্ষ্য করে বলবেঃ আমি যদি একে হত্যা করে, পুনরায় জীবিত করতে পারি তাহলে কি তোমরা আমার ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষণ করবে? লোকেরা বলবেঃ না। অতঃপর সে উক্ত বিশ্বাসী ব্যক্তিটিকে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করবে। এ পর্যায়ে সেই যুবকটি বলবেঃ স্রষ্টার

 শপথ! তুমি যে মিথ্যুক দাজ্জাল- এ সম্পর্কে আমার বিশ্বাস আগের তুলনায় আরো মজবুত হলো। দাজ্জাল তাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাঁকে হত্যা করতে সক্ষম হবেনা।  উক্ত যুবক তখন অন্য লোকদেরকে ডেকে  বলবেঃ হে লোক সকল! এটিই সেই দাজ্জাল যা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সাবধান করেছেন। অতঃপর দাজ্জাল তার অনুসারীদেরকে বলবেঃ একে ধর এবং প্রহার কর। তাকে মেরে-পিটে যখম করা হবে। অতঃপর দাজ্জাল তাকে জিজ্ঞেস করবে এখনও কি আমার প্রতি বিশ্বাস আনবেনা? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ উক্ত যুবক বলবেনঃ তুমি মিথ্যাবাদী দাজ্জাল। তারপর দাজ্জালের আদেশে তার মাথায় করাত লাগিয়ে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। দাজ্জাল দু’খন্ডের মাঝ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করবে। অতঃপর যুবকটিকে বলবেঃ উঠে দাড়াও। তিনি উঠে দাড়াবেন। দাজ্জাল বলবে এখনও আমার প্রতি বিশ্বাস করবেনা? তিনি বলবেনঃ তুমি মিথ্যুক দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারে এখন আমার বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অতঃপর তিনি বলবেনঃ হে লোক সকল! আমার পরে আর কারো সাথে দাজ্জাল এরূপ করতে পারবেনা। অতঃপর দাজ্জাল তাকে পাকড়াও করে আবার যবেহ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তার গলায় যবেহ করার স্থানটি তামায় পরিণত হয়ে যাবে। কাজেই সে যবেহ করতে ব্যর্থ হবে। অতঃপর তাঁর হাতে-পায়ে ধরে দাজ্জাল জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। লোকেরা মনে করবে তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে। অথচ সে জান্নাতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ ‘‘এই ব্যক্তি হবে পৃথিবীতে সেদিন সবচেয়ে মহা সত্যের সাক্ষ্য দানকারী’’।


উপরোক্ত বর্ণনায় এক ব্যক্তির বর্ণনা করা হয়েছে আজ আলোচনা করবো এই ব্যক্তিটি আসলে কে? 

এই ব্যক্তিটি হলো কয়েকটি দেশ নিয়ে গঠিত মানুষ সদৃষ এই পৃথিবীর একটা ভৌগলিক স্থান। স্থানটি হলো ইরান, তুর্কমনিস্থান,উজবেকিস্থান, আফগানস্থান, পাকিস্থান, ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার (বার্মা)। 


মুহাম্মদের দ্বীনে যে বিশ্বাসী সর্বোত্তম ব্যক্তিটির কথা বলা হয়েছে তার পা হলোঃ ইরান, তুর্কমেনিস্থান, উজবেকিস্থান, 


সেই বিস্বাসী ব্যক্তিটির দেহ হলোঃ আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ভারত, নেপাল। 


বিশ্বাসী সর্বোত্তম ব্যক্তিটির গলাঃ বাংলাদেশ। 


বিশ্বাসী সর্বোত্তম ব্যক্তিটির মাথাঃ মায়ানমার (বার্মা)


উপরোক্ত আলোচনায় যে দাজ্জাল বা এক চক্ষু বিশিষ্ট কানা মিথ্যাবাদীর কথা বলা হয়েছে এটা হলো তোমাদের স্রষ্টার চিরাচরিত পদ্ধতির বিপরীত পন্থা তৈরি করা এবং তোমাদের স্রষ্টার নির্দেশিত পথ ও পন্থা বাদ দিয়ে নিজেদের তৈরি করা সেই পন্থা ও পথ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাকেই বুঝানো হয়েছে। এই পদ্ধতির (দাজ্জাল) বিপক্ষে জিহাদ করতে গিয়েই আমাদের আহলে বাইত নবী মুহাম্মদের নাতি কারবালায় শহীদ হয়েছিলেন। উপরোক্ত আলোচনায় মদিনাহর নিকটবর্তী

বালুকাময় যে ভুমিতে প্রথম দাজ্জালের অবতরণের কথা বলা হয়েছে সেই ভুমিটি ছিলো এই কারবালার প্রান্তর। নিশ্চয়ই এই কারবালার প্রান্তর, কারবালার প্রান্তর, কারবালার প্রান্তরই। এখানেই দাজ্জাল(মিথ্যাবাদী) প্রথম অবতরন করেছিল। নিশ্চয়ই এই দাজ্জাল আর কেউই নয় স্বয়ং শয়তান।



মাহদী, ইসা বা কৃষ্ণার প্রধান শত্রুদেশ সমুহঃ

FINLAND, DENMARK, DOMINICA REPUBLIC,GREECE, ICELAND, SLOVAKIA, NORWAY, SWEDEN, SWITZERLAND, TONGA. 



মাহদী, ইসা বা কৃষ্ণার প্রধান বন্ধুদেশ সমুহঃ

AUSTRALIA, UNITED KINGDOM, BERMUDA, HONG KONG, NEWZEALAND, TUVALU, OMAN,   FIJI.



পরিশেষে

নবী ইসা (আঃ) কি আকাশ থেকে অবতরণ করবেন নাকি নবী মুহাম্মদের একজন সাধারন উম্মত হিসাবে জন্মগ্রহণ করে নবী মুহাম্মদের দ্বীনই প্রচার করবেন? নবী মুহাম্মদের দ্বীনে আকাশ থেকে ইসা আঃ এর সশরীরে আগমনের যতগুলো হাদীস রয়েছে সবগুলো জাল, বানোয়াট, ভুয়া। আর যদি আকাশ থেকে ইসা আঃ এর সশরীরে আগমণের বিষয়টি ঘটনার বর্ণনার ক্ষেত্রে রুপক হিসাবে বলা হয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে।যেমন কোনো গল্প বা উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে কাহিনীটিকে দর্শকের কাছে বেশি আকর্ষিত করার জন্য অতিমাত্রা ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ যা বাস্তব অর্থে সত্য নয়। নবী ইসা শেষ নবী মুহাম্মদের একজন অতি সাধারণ উম্মত হিসাবেই জন্মগ্রহণ করবে। নবী ইসা অন্য কোনো দ্বীন নয় বরং নবী মুহাম্মদের দ্বীনই প্রচার করবে। আর সে দ্বীন হলো স্রষ্টার কাছে সম্পুর্নরুপে আত্মসমর্পণ। আর ইসার দাজ্জালকে হত্যার কোনো প্রয়োজনই পড়বে না। দাজ্জাল ইসাকে দেখে এমনিতেই লবণের মতো গলতে শুরু করবে। গলতে গলতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর তোমরা যদি সেই তরবারীটি দেখতে চাও যে তরবারী দিয়ে ইসা দাজ্জালকে হত্যা করেছে তাহলে লেবুর কাটা অথবা বেলের কাটা দেখে নিও। এটাই সেই অস্ত্র যা দিয়েই ইসা দাজ্জালকে হত্যা করেছে। নিশ্চয়ই এই অস্ত্রের অগ্রভাগে তোমরা এখনও দাজ্জালের রক্ত দেখতে পাবে। নিচে ছবি সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। ইসা বাঁচবেন ৪০ বছর। এখন তার বয়স ২৫ বছর। তিনি ৭ অথবা ৯ বছর সারাবিশ্ব শ্বাসন করবেন তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও। ইসার বয়স যখন ৩১ অথবা ৩৩ বছর হবে তখন সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের শাসন ক্ষমতা নিজের হাতে পাবেন। শাসন ক্ষমতা হাতে পেয়ে ইসা মুলত তিনটি কাজ করবেন। ১/ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, ২/শুকর মেরে ফেলবেন, ৩/সারা বিশ্বের মানব জাতীকে একটি দ্বীনের আওতায় নিয়ে আসবেন। সেই দ্বীনটিই হলো মুহাম্মদের দ্বীন। সেই দ্বীনটিই হলো একমাত্র স্রষ্টার কাছেই সম্পুর্নরুপে আত্মসমর্পণ। নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ও ইসা তাদের স্রষ্টার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছিলো। স্রষ্টা, স্রষ্টা, শুধুমাত্রই স্রষ্টা। আর কেউ নয়, কেউ নয়, কেউ নয়। আর স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পন নামক দ্বীনেরই কিছু সংখ্যক লোক ইসার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করে ইসাকে নবী মুহাম্মদের একেবারে পাশেই চীর নিদ্রার ব্যবস্থা করে দেবে। নিদ্রা, নিদ্রা, চীরনিদ্রা।

"জয় গণতন্ত্র, জয় মানবতা" "স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনই শ্রেষ্ঠ দ্বীন" "#STCparty জিন্দাবাদ" Meherab Ovi (The One Man Army) Founder Of Manhig Mudlakh Foundation



Post a Comment

0 Comments